বব ডিলানের নোবেল ও প্রবল বাঙ্গালী কানেকশন

বব ডিলানের নোবেল ও প্রবল বাঙ্গালী কানেকশন

৩০শে আশ্বিন ১৪২৩ বঙ্গাব্দ

১৫ই অক্টোবর ২০১৬

৩০শে আশ্বিন ১৪২৩ বঙ্গাব্দ ॥ ১৫ই অক্টোবর ২০১৬

৪৩৪ শব্দ · ⏱ পড়তে আনুমানিক মিনিট লাগবে

n

n

n

n

n১০ বারের বেশি গ্র্যামী আওয়ার্ড, একবার গোল্ডেন গ্লোব ও সঙ্গীতে অস্কার বিজেতা বব ডিলানকে নোবেল পুরস্কার ২০১৬ দেয়া হল সাহিত্যে। ১৯৯৩ সালের পরে এবারই একজন আমেরিকান সাহিত্যিক এ পুরস্কারটি পেলেন। যাহোক বিষয়টি নিয়ে অনেক বিতর্ক হচ্ছে-কারণ তিনি সঙ্গীতজ্ঞ; তবে তাঁকে সঙ্গীতে অবদানের জন্য নয়, সাহিত্যে অবদানের জন্যই দেয়া হয়েছে এ পুরস্কার, কারণ তার গানের কথাগুলো সাহিত্যের ধারায় বদল এনেছে, যেমন এনেছিলেন বাঙ্গালী গীতিকার ও কবি রবীন্দ্রনাথ (১৯১৩),চিলির কবি গাব্রিয়েল মিস্ট্রাল (১৯৪৫ সালে), স্প্যানিশ কবি হুয়ান র‍্যামন হিমেনেজ (১৯৫৬), ইতালির কবি সালভাতর কোয়াসিমোডো (১৯৫৯) ও সুইডিশ কবি নেলি স্যাশ (১৯৬৬);তাদের নোবেল স্বীকৃতি দানের ধারাবাহিকতায় ডিলানকেও এ বছর বেছে নিল নোবেল কমিটি।
n
n

n

nডিলানের ‘ব্লোয়িন ইন দ্য উইন্ড’ আর ‘টাইমস দে আর-আ-চেঞ্জিং’আমেরিকার সিভিল সোসাইটিতে প্রবল আন্দোলন তৈরি করেছিল । এই আন্দোলনে তার গান ছিল কিছুটা জাতীয় সঙ্গীতের মত। ডিলানের জীবনের প্রথমদিককার গানের কথা ছিল মূলত রাজনীতি, সমাজ, দর্শন ও সাহিত্যিক প্রভাব সম্বলিত। এগুলো তখনকার জনপ্রিয় ধারার কথিত নিয়ম বহির্ভূত ছিল এবং এ ধারার বিপরীত হিসেবে ধরা হত। নিজস্ব সঙ্গীত ধারা প্রসারের পাশাপাশি তিনি আমেরিকার বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীতের প্রতি আকর্ষন অনুভব করেছেন। তিনি আমেরিকান লোকগীতি ও কান্ট্রি/ব্লুজ থেকে রক অ্যান্ড রোল, ইংরেজ, স্কটিশ, আইরিশ লোকগীতি, এমনকি জ্যাজ সঙ্গীত, সুইং, ব্রডওয়ে, হার্ডরক এবং গসপেলও গেয়েছেন।
n
n
n

nডিলান সাধারণত গিটার, কিবোর্ড এবং হারমোনিকা বাজিয়ে গান করেন। ১৯৮০ দশক থেকে কিছু সংগীতজ্ঞকে সঙ্গে নিয়ে তিনি নিয়মিত বিভিন্ন সঙ্গীত ভ্রমণ করে থাকেন যা তার ভাষায় ‘নেভার এন্ডিং ট্যুর’।

n

n

n

n

n
nতার জীবনের সেরা কনসার্টগুলোর একটি ছিল ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ যা ঘরকুনো, আত্মকেন্দ্রীক আমেরিকানদের দুনিয়ার একটি ছোট্ট ভূখন্ড ও মুক্তিকামী মানুষদের সম্পর্কে শুধু জানানই দেয়নি, জানান দিয়েছিল তৎকালীন নিক্সন সরকারের যুদ্ধংদেহী ও নীতিহীন পররাস্ট্রনীতি সম্পর্কে। একটি ছোট্ট দেশকে কেন্দ্র করে পুরো সরকার একদিকে আর সমস্ত সিভিল সোসাইটি ও জনগন একদিকে ছিল। কেনেডি, রবীশংকর, জর্জ হ্যারিসন, অ্যালেন গীন্সবার্গদের সাথে তিনিও ছিলেন বাংলাদেশের বন্ধু। কনসার্ট ফর বাংলাদেশ মঞ্চে তিনি গেয়েছিলেন-‘ইট টেকস আ লট টু লাফ’, ‘লাভ মাইনাস জিরো’ এবং ‘জাস্ট লাইক আ ‘ওম্যান’,‘ব্লোয়িং ইন দ্য উইন্ড্‌ ‘আ হার্ড রেইনস আ-গনা ফল’ যা আলোড়ন তুলে একদিনেই বাংলাদেশের নাম জানিয়ে দিয়েছিল সারা পৃথিবীকে। কনসার্ট থেকে প্রাপ্ত আড়াই লাখ মার্কিন ডলার ইউনিসেফের মাধ্যমে দেয়া হয়েছিল মুক্তিযোদ্ধা ও স্বরনার্থীদের সাহায্যার্থে।
n
n
n
nপরবর্তীতে রেকর্ড বিক্রির টাকাও ফান্ডে দিয়ে দেয়া হয়। এক একজনের জন্য ৪ টি টিকেট বাধ্যতামূলক হলেও গুনে গুনে ৪০,০০০ দর্শক হয়েছিল সে কনসার্টে।
n
nকনসার্ট ফর বাংলাদেশ মঞ্চে গাওয়া গানের লিংক – লাইভ ইন ১৯৭১,১লা আগস্ট
n
nhttps://youtu.be/kIBxQ1SAXe0…
n
nএরপরেও ডিলানের বাঙ্গালী কানেকশন আর আছে প্রচুর। তার বাঙ্গালী বন্ধু পূর্ন দাস বাউল। তার ছেলের বিয়েতে কলকাতা এসেছিলেন ১৯৯০ সালে।

n

nযেটা তেমন কেউ জানেনা সেটা হল, তিনি একজন চিত্রশিল্পীও বটে। কিছু নিরীক্ষাধর্মী গ্রন্থ, গদ্যকবিতাও আছে তার। নোবেল কমিটি সেগুলোর কথাও বলেছে।

n

n